মানুষ চেনার পাঠ

একজন মানুষকে চেনার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো তার অতীত সম্পর্কে সে কী ভাবে সেটা বোঝা। ধরুন একটা সময়ে আর্থিকভাবে আপনি বেশ নাজুকতার মধ্য দিয়ে গেছেন৷ বেশ কষ্টে কেটেছে আপনার দিনগুলো৷ কষ্টের পরে একসময় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আপনার জীবনে বারাকাহ দিলেন, আপনার কিছু পয়সাপাতি হলো, আপনি মোটামুটি একটা অবস্থানে আসতে শুরু করেছেন সমাজে। সামাজিক অবস্থান পরিবর্তনের সাথে সাথে যদি আপনার বন্ধুমহলও বদলে যায়— যেমন কোটিপতি মানুষ না হলে আপনি কারো জন্য সময় করেন না, লাখোপতি না হলে আপনি কারো বাসায় দাওয়াতে যান না, ব্র‍্যাণ্ডের জামা গায়ে না থাকলে যেকাউকে আপনার গরীব গরীব লাগে— এসব উপসর্গ যদি আপনার মধ্যে থাকে তাহলে বন্ধু হিশেবে আপনি অবশ্যই সুবিধের নন। নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন মক্কার সবচেয়ে সম্ভ্রান্ত গোত্রের লোক, কিন্তু সমস্ত অসহায়, দরিদ্র আর গরীবদের জন্য তিনি এতোটাই নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন যে— কারো ঘরে খাবার না থাকলে তারা সবার আগে নবিজীর কাছে চলে আসার কথা চিন্তা করতে পারতেন৷ তারা জানতেন— আবদুল মুত্তালিবের নাতির কাছে…

পুরোটা পড়ুনমানুষ চেনার পাঠ

তিনটি  ‘ব্যবসায়িক’ পরামর্শ

স্টার্টাপ বিজনেস এবং বিনিয়োগের জন্য অভিজ্ঞতার আলোকে আমার তিনটা পরামর্শ৷ যদিও পরামর্শগুলো পুরাতন, কিন্তু নিজের উপলব্ধিটুকু বলতে চাই। ১. দুনিয়ার অন্যতম শীর্ষ একজন ধনী ওয়ারেন বাফেট। ব্যবসা এবং বিনিয়োগের জন্য সবার কাছে সুপরিচিত। ওয়ারেন বাফেটের বিনিয়োগ নিয়ে একটা কথা আছে— ‘যদি আপনার কাছে দশটা আপেল থাকে, তাহলে কখনোই সেই দশটা আপেল একটা ঝুড়িতে রাখবেন না’। মানে হলো— আপনার হাতে থাকা দশটা আপেল যদি একটা ঝুড়িতে রাখেন, যদি দশটার কোনো একটায় পচন ধরে, খুব সম্ভাবনা আছে বাকি নয়টা আপেলও পঁচে যাওয়ার৷ অর্থাৎ— আপনার হাতে যদি পাঁচ লাখ টাকা থাকে এবং সেই পাঁচ লাখ টাকা যদি আপনি কেবল একটা জায়গাতেই বিনিয়োগ করে ফেলেন, যদি কোনোভাবে সেই ব্যবসা যেখানে আপনি বিনিয়োগ করেছেন সেটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, খুব সম্ভাবনা আছে আপনার আম এবং ছালা— দুটোই যাওয়ার। ওয়ারেন বাফেটের মতে সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে সেই পাঁচ লাখ টাকাকে তিনভাগ বা দুইভাগ করে তিনটা বা দুইটা আলাদা আলাদা জায়গায় বিনিয়োগ করা৷ এতে যদি কোনো একটা খাত ক্ষতিগ্রস্ত…

পুরোটা পড়ুনতিনটি  ‘ব্যবসায়িক’ পরামর্শ

নবিজীর দেখা পেলে

মাঝে মাঝে ভাবিযদি স্মৃতি প্রতারণা করতোআর পৃথিবী ফিরে যেতো আরো আদিম সময়ে—সাড়ে চৌদ্দ’শ বছর আগে। ধরা যাক একদিনএকটা পুরোনো মানুষ বিক্রির হাটেএকটা অগভীর কূপ আর হেলে পড়াখেঁজুর গাছের পাশেএক অনারব বণিক আমাকে নিলামে তুললো,এবং এক আরব—কিনে নিলো একেবারে সস্তা দামে। যেহেতু যুগটা আদিম, এবংআমাকে সে কিনে এনেছেআদম বেচাকেনার হাট থেকেসুতরাং সে আমার মনিব আরআমি তার গোলাম৷তার বেঁধে দেওয়া কাজ—পানি টানা, বাগান দেখভাল আর মেষ চরাতে চরাতেএকদিন আমার কানে আসবে এমনকিছুযা কখনো শুনিনি আগে। পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়াকতিপয় অপরিচিত পথচারী এসে বলবে,‘শোনো ভাই! গোলামি করো শুধু আল্লাহর!তিনি ছাড়া আর কোন প্রভু নেই,নেই ইশ্বর; বিস্ময় বিমূঢ়তায় আমি জানতে চাইবো, ‘আল্লাহ? তিনি কে?’‘তিনি একক এবং অদ্বিতীয়৷ তাঁর কোন অংশীদার নেই’‘তিনি কোথায় থাকেন?’‘রাহমান! তিনি আরশের ওপরে সমাসীন’।‘কে তাঁকে চিনিয়েছেন?’‘মুহাম্মাদ! তিনি আল্লাহর রাসূল’।‘তিনি কি রাজা?’‘তা নয়, তাঁর জীবন বড় সাদামাটা!’‘গরিবদের সাথে মেশেন?’‘গরিবেরাই তাঁর অধিক অনুসারী’।‘অভাবীকে খাওয়ান?’‘নিজের পাত্রেরটুকও তুলে দেন’।‘তাঁর প্রচারিত বাণী কী?’‘আহাদ! আহাদ! আল্লাহ এক! আল্লাহ এক!’ তারপর—আমি ভুলে যাবো দুনিয়ার সমস্ত কথা;সমস্ত গান আর…

পুরোটা পড়ুননবিজীর দেখা পেলে

অন্তত কিছু করো

(১) একবার একটা সফরে খাওয়ার সময় উপস্থিত হলে নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটা ভেড়া জবাই করার কথা উঠালেন। ভেড়া জবাইয়ের কথা শুনে সাহাবিদের একজন বললেন, ‘আমি ভেড়াটাকে জবাই করবো’। অন্যজন বললেন, ‘কাটাকুটির কাজটা আমি করবো’। তারপরে আরেকজন বললেন, ‘আর রান্নার কাজটা আমি করতে চাই’। তাদের সকলের কথা শুনে নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘ঠিক আছে৷ তাহলে লাকড়ি জোগাড় করার দায়িত্বটা আমি নিলাম’। নবিজী লাকড়ি কুড়াবেন— ব্যাপারটা কি সাহাবাদের পক্ষে মেনে নেওয়ার মতো? তারা হৈহৈ করে উঠে বললেন— ‘না ইয়া আল্লাহর রাসূল! এই কাজটাও আমরা করতে পারবো’। তখন নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘আমি জানি এই কাজটাও তোমরা করতে পারবে৷ তবে— আমি সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে বসে থাকতে অপছন্দ করি৷ আল্লাহর এক বান্দা অন্যদের ওপর (দায়িত্ব চাপিয়ে) বসে আছে— এটা আল্লাহও পছন্দ করেন না। (২) নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনের এই ঘটনা আমাকে ভালো রকমের একটা শিক্ষার মুখোমুখি এনে দাঁড় করালো৷ কোথাও বেড়াতে গেলে, কোন ট্যুর অথবা কোন ঘরোয়া আয়োজন— সম্ভব হলে যেকোনো…

পুরোটা পড়ুনঅন্তত কিছু করো

জীবনের নানাবিধ রূপ

jiboner-nanabid-rup
আমি এমনকিছু মানুষকে চিনি যাদের সাথে কথা বললে মনে হয় পারলে কলিজাটা কেটে খাওয়ায় আমাকে, কিন্তু পশ্চাতে তারা আমার যে নিন্দা-মন্দ করে তা শুনেও আমাকে আকাশ থেকে পড়তে হয়। আমি তাদের দুই অবস্থা কোনোভাবেই মিলাতে পারি না। এমন অনেককে চিনি যারা দ্বীন আর ধর্ম নিয়ে সে কী সোচ্চার, কিন্তু ব্যক্তিগতজীবনে তাদের অসততা, তাদের কপটতা আর ভণ্ডামিগুলো দেখে আশ্চর্য বনে যাই— কীভাবে পারে! আবার, সততা, সত্যবাদিতা, দ্বীন আর ধর্ম থেকে জ্ঞাতসারে একচুলও বিচ্যুত হতে রাজি নয়— সেটা ব্যক্তিজীবন আর কর্মজীবন যেখানেই হোক— এমন অনেক লোককেও জীবনে আলহামদুলিল্লাহ পেয়েছি। তো, জীবন আসলে এটাই— গুলিস্তান থেকে চিটাগং রোড যাওয়ার রাস্তাটুকু। সেই সময়টুকুতে ভালো ব্যাপার যেমন ঘটতে পারে, খারাপ ব্যাপারও ঘটতে পারে ততোধিক। এসবকে সামলে নিয়েই একটা জীবন বাঁচতে হয়।
পুরোটা পড়ুনজীবনের নানাবিধ রূপ

জীবনের একটা নতুন শুরু

আর কয়েকটা দিন পরে আমরা প্রবেশ করবো নতুন একটা বছরে। ক্রমাগত ফুরিয়ে যাওয়া হায়াতের সুনির্দিষ্টকাল সময় থেকে হারিয়ে যাবে আস্ত একটা বছর! মনে হয় যেনো এই তো সেদিন ২০২২ সাল শুরু হয়েছিলো। জানুয়ারি আর ফেব্রুয়ারি মাসের স্মৃতিগুলো একেবারে তাজা রয়ে গেছে এখনো। অথচ, সেগুলো আজ থেকে দশ-এগারো মাসের অতীত। ক্রমান্বয়ে অথচ কী ভয়ানকভাবেই না আমরা এগিয়ে যাচ্ছি মৃত্যুর দিকে! নতুন বছরে নতুন করে শুরু করার একটা তাড়না আমাদের সকলের মনে উঁকি দেয়। নতুন উদ্যমে, নতুন পরিকল্পনায়, নতুন ছকে জীবনটাকে সাজিয়ে নিতে আমরা নানানভাবে চেষ্টা করি। আমরা ভাবি— ‘অনেক তো হলো, এবার নতুন করে সবকিছু গোছানো যাক’। মনে মনে বিড়বিড় করে আমরা বলি— ‘নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে আমি হয়ে যাবো একেবারে ভিন্ন মানুষ। সবকিছু নতুনভাবে শুরু করবো’। এই ওয়াদাগুলো আমরা প্রায় প্রতি বছরই নিজের সাথে করি। এসকল আপ্তবাক্যে আমরা সাময়িকভাবে উদ্দীপ্ত হই বটে, কিন্তু দিনশেষে কোন পরিবর্তনের পথেই আমরা হাঁটতে পারি না। আমাদের দিনগুলো যেভাবে আগে কাটতো— যে মলিনতায়— এসকল…

পুরোটা পড়ুনজীবনের একটা নতুন শুরু

বদ-নজর কি সত্য?

(১) কয়েকদিন আগে ফেইসবুকে আমার একটা লেখার নিচে একজন লিখলো, ‘ভাইয়া, আপনার মেয়ে আয়িশাকে নিয়ে আর লেখেন না কেনো ফেবুতে?’ প্রতি-উত্তরে আমি বললাম, ‘বদ-নজরের ভয়ে লিখি না। আমি খেয়াল করেছি— যখনই তাকে নিয়ে আমি ফেবুতে কিছু লিখি, ও কোনো না কোনোভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে’। আমার এই প্রতি-উত্তর স্বাভাবিকভাবেই অনেকের নজরে আসে এবং অধিকসংখ্যক মানুষ আমার কাছে ফিরতি জানতে চাইলো— ‘ভাই, আপনি কি বদ-নজরে বিশ্বাস করেন?’ ‘ভাই, বদ-নজর বলে আদৌ কি কিছু আছে?’ ‘বদ-নজর সম্পর্কে ইসলামের ধারণা কী?’ প্রতি-উত্তরগুলো দেখে মনে হলো— বদ-নজর সম্পর্কে আমাদের অনেকের ধারণা সু-স্পষ্ট নয়। আমরা কেউ এটাকে বিশ্বাস করি না, কেউ ভাবি এটা ইসলামের সাথেই যায় না বা ইসলাম বদ-নজরেই বিশ্বাস করে না, কেউ-বা এটাকে কু-সংস্কার ভাবি। এই প্রতিক্রিয়াগুলো দেখে মনে হলো কিছু একটা লিখা দরকার। সেই চিন্তা থেকেই এই লেখাটুকুর অবতারণা। প্রথম কথা হলো— ইসলামে কু-সংস্কারের কোন স্থান নেই। যেমন গ্রামগঞ্জে মানুষ বিশ্বাস করে— কোথাও যাওয়ার পথে কালো দোয়েল পাখি দেখলে সে যাত্রা শুভ হয়…

পুরোটা পড়ুনবদ-নজর কি সত্য?

ঝরা পাতার কাব্য

‘গাছ হতে এমন কোন পাতা ঝরে পড়ে না যার ব্যাপারে তিনি অবগত নন’। – আল আন’আম ৫৯ আয়াতটা চোখে পড়লেই আমি রীতিমতো ধাক্কা খাই। কী এক অসাধারণ ব্যাপার ভাবুন তো! পৃথিবীতে গাছের সংখ্যা কতো তা যদি আপনাকে বের করতে বলা হয়, আপনার কি সাধ্য আছে তা বের করার? ধরে নিলাম যে যাবতীয় ‘হতে পারে/প্রায়/ কাছাকাছি’ জাতীয় কল্পনার আশ্রয় বাদ দিয়ে, এক অসাধ্য সাধন করে আপনি পৃথিবীর মোট গাছ সংখ্যা গুনে ফেললেন। কিন্তু সেসব গাছের পাতা সংখ্যা যদি আপনাকে গুনে বের করতে বলা হয়, সম্ভব কি আপনার দ্বারা? আপনি এবার হয়তো মাথা চুলকে বলবেন, ‘তা কী করে হয়?’ তা আসলেই অসম্ভব। বলা হয়ে থাকে— আমাজন বনের মধ্যে এখনো এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে আজ অবধি কোন মানুষের পদচিহ্ন পড়েনি। চিন্তা করে দেখুন— এমনই এক দূর্গম অঞ্চলে, যেখানে সূর্যরশ্মি পৌঁছাতে হিমশিম খেয়ে যায়, সেখান থেকে নীরবে-নিভৃতে, গভীর নিশিতে, অলক্ষ্য-অগোচরে যে পাতা ঝরে, তার ব্যাপারে দুনিয়ার আর কেউ না জানলেও, সেই ঝরা-পাতার খতিয়ান…

পুরোটা পড়ুনঝরা পাতার কাব্য

আড়ংয়ের ভড়ং এবং আমাদের ‘চাকরি’ মনস্তত্ত্ব

আড়ং কিংবা ব্র‍্যাক— এরা যে আমাদের ভাবাদর্শ ধারণ করে না, বরং উল্টোটাই তারা ধারণ করে, সে ব্যাপারে আশা করি সচেতন মহল মাত্রই অবগত। আড়ং-এ দাঁড়ি রাখার জন্যে একজনের চাকরি হয়নি এটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। দাঁড়ি নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ এবং এই সুন্নাহকে অবজ্ঞা, অবহেলা আর ঘৃণা করে কেউ যদি খবরদারি করতে চায়— আমাদের অবশ্যই উচিত সে-ব্যাপারে সতর্ক হওয়া, লোকজনকে সচেতন করা এবং এটার বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিবাদ করা। তবে, এখানে আমি আরো একটা ব্যাপার নিয়ে একটু আলাপ করতে চাই। আমাকে যদি কেউ এসে বলে, ‘ভাই, সুদী ব্যাংকে চাকরি করা উচিত হবে কি?’ আমি যদ্দুর জানি— আমাদের ‘আলেমরা কখনোই সুদী ব্যাংক কিংবা এনজিও-তে চাকরি করাটাকে জায়েজ বলেন না। কারণ এই প্রতিষ্ঠানগুলো দাঁড়িয়েই আছে সুদের ব্যবসার ওপরে। যেহেতু এসব জায়গায় চাকরি করাটাকে আলেমরা জায়েজ বলেন না, সেহেতু এসব প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরির অফার এলে কিংবা চাকরির জন্যে এসব প্রতিষ্ঠানে ধর্না দেওয়ার আগে সচেতন মুসলিম মাত্রেরই কয়েকবার ভাবা উচিত। আড়ং-এর মাদার বিজনেস…

পুরোটা পড়ুনআড়ংয়ের ভড়ং এবং আমাদের ‘চাকরি’ মনস্তত্ত্ব

জেমসওয়েব টেলিস্কোপ এবং ভাবনার অলিগলি

(১) আজ সম্ভবত পূর্ণিমা রাত। আজকের চাঁদের আকৃতি বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় খানিকটা বড় হবে। বাড়ির ছাদে বা উঠোনে বসে যদি আপনি আকাশের দিকে তাকান, মেঘমুক্ত আকাশ হলে আপনি ঝকঝকে এক অপরূপ চাঁদের দেখা পাবেন আজ। ধূসার-শাদা জোছনায় প্লাবিত হবে আপনার চারিপাশ। সুন্দর সেই ঝকঝকে আকাশে চাঁদের বাইরেও আপনি দেখতে পাবেন অসংখ্য অগণিত তারা যারা মিটিমিটি জ্বলছে পুরো আকাশজুড়ে। তাদের অবস্থান কিন্তু আমাদের জানাশোনা, নিকটবর্তী কোন স্থানে নয়। বহু বহু আলোকবর্ষ দূরের কোন মহাশূন্যে তারা অবস্থান করছে ধারণার উর্ধ্বেরও কোন সময়কাল থেকে। তাদের একেকটার আকার আর আকৃতি আমাদের ধারণার চাইতেও বহু বহু গুণ বড় হতে পারে অনায়াসে। হতে পারে— আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে বড় নক্ষত্র, যাকে আমরা সূর্য নামে ডাকি, সেই সুবিশাল সূর্য সেই তারকাগুলোর কাছে শস্যদানার মতোই ক্ষুদ্র! ভাবছেন, সেই তারকাগুলোর তুলনায় সূর্য যদি এতো ছোট-ই হবে, তাহলে সূর্যের আলো এতো বেশি কেনো? আর, সেই তারকাগুলোকে কেনো দেখি একেবারে নিঁভু নিঁভু পিদিমের আলোর মতোন? এর কারণ হলো— সেই তারকাগুলোর তুলনায়…

পুরোটা পড়ুনজেমসওয়েব টেলিস্কোপ এবং ভাবনার অলিগলি