চট্টগ্রামের ‘বিয়ে’ ভাবনা

কুরবানির ঈদের সময়ে বাড়িতে এলে প্রায়ই একটা কথা কানে আসে— ‘অমুকের শ্বশুরবাড়ি থেকে গরু দিয়েছে’, ‘তমুকের শ্বশুরবাড়ি থেকে বড় ছাগল দিয়েছে’। আমি নিজে একজন খাস চট্টগ্রামের মানুষ হয়েও এ-কথা অস্বীকার করবো না যে— চট্টগ্রামে যতো প্রকারের অপ-সংস্কৃতি চালু আছে তা গোটা বাংলাদেশেই বিরল। আর সেই অপ-সংস্কৃতিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ পর্যায়ে আছে যৌতুক প্রথা। যৌতুক জিনিসটাকে এখানকার সমাজ এতো সহজ আর সাবলীলভাবে গ্রহণ করেছে যে— কেউ যদি যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে দাঁড়ায় অথবা নিজে যৌতুক ছাড়া বিয়ে করে, গোটা সমাজ তার দিকে অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে তাকায় যেন সে খুব বোকা শ্রেণীর মানুষ যে সম্পদ লাভের এমন মোক্ষম সুযোগ হেলায় হারাচ্ছে। কেউ কেউ আবার আরো এককাঠি সরেস। তারা ভাবে— ‘ছেলের মনে হয় সমস্যা আছে, নাহয় কিছু নেওয়া ছাড়া বিয়ে করে নাকি?’ চট্টগ্রামে যৌতুক প্রথা এমন মহামারী রূপ কীভাবে ধারণ করলো তা আমি বেশ অনেকদিন থেকেই বোঝার চেষ্টা করছি। অনেক মানুষের সাথে আমি এ-বিষয়ে আলাপ করেছি। সবশেষে যে উপসংহারে আমাকে পৌঁছাতে হলো তা এই— কোন…

পুরোটা পড়ুনচট্টগ্রামের ‘বিয়ে’ ভাবনা

সূরা ফাতিহা নিয়ে একটুখানি ভাবনা

আমি ভাবতাম— আচ্ছা, সূরা ফাতিহা প্রতি ওয়াক্তে, প্রতি রাক’আতে তিলাওয়াত বাধ্যতামূলক করা হয়েছে কেনো? কেনো প্রতি ওয়াক্তে আমাদেরকে বলতে হয়— ‘হে আল্লাহ, আমাদেরকে সিরাতুল মুস্তাকীমের পথে আপনি পরিচালিত করুন’? এর একটা সম্ভাব্য উত্তর আমি পেয়েছিলাম নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসে। তিনি বলেছিলেন, ‘কিয়ামতের প্রাক্কালে এমন হবে যে— মানুষ সকালবেলা মুমিন থাকলেও সন্ধ্যেবেলা কাফের হয়ে যাবে। সন্ধ্যেবেলা কাফের থাকলেও, সকাল হতে হতে মুমিন হয়ে যাবে। অর্থাৎ— সময়টা এতোটা অস্থির আর সঙ্কটাপন্ন থাকবে যে— কার ঈমান কখন আসছে আর কখন যাচ্ছে তা বুঝে উঠাই মুশকিল হয়ে যাবে। এজন্যে প্রতি সালাতে, প্রতি ওয়াক্তে এবং প্রতি রাক’আতে আমাদেরকে ঈমানের পথে অটল-অবিচল থাকার প্রার্থনা করতে হয়। আসরের সালাত পড়ে বাসায় এসে মাগরিবের আগে যে ঈমানহারা হয়ে যাবে না— তার কোন নিশ্চয়তা নেই। তাই আসরের সালাতে ‘ইহদিনাস সিরাত্বাল মুস্তাক্বীম’ তথা ‘আমাদেরকে সরল-সঠিক পথে পরিচালিত করুন’ এই আয়াত তিলাওয়াত করে আসার পর মাগরিবের সালাতে গিয়েও একই আয়াত আবার, বারবার আমাদের পড়তে হয়। আসর থেকে মাগরিব— এই অল্প…

পুরোটা পড়ুনসূরা ফাতিহা নিয়ে একটুখানি ভাবনা

পইপই করে হিশেব রাখার দিনে

[১] পইপই করে হিশেব রাখবার একটা চমৎকার সুযোগ এসেছিলো আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু এর সামনে। দূর সম্পর্কের এক দরিদ্র আত্মীয়কে আর্থিকভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করতেন আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু। দারিদ্র‍্যের ভারে নুইয়ে পড়া তার জীবনের অচলাবস্থায় আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু ছিলেন সাহায্যের অন্যতম ভরসাস্থল। কিন্তু, যেবার ‘আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহার ব্যাপারে মদীনার মুনাফিকেরা কুৎসা রটালো, চারিত্রিক কালেমার যে অপবাদ তারা লেপ্টে দিতে চেয়েছিলো উম্মুল মুমিনীনের গায়ে, সেই ঘটনায় যুক্ত হয়ে পড়েছিলো আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর সেই আত্মীয়ও। ভাবুন তো— কারো দুঃখের দিনে আপনি আপনার সর্বোচ্চটা দিয়ে তার পাশে দাঁড়ান, কিন্তু দিনশেষে যদি জানতে পারেন যে সেই লোকটা আপনার মান-ইজ্জতকে দুই পয়সার দাম দেয় না, সুযোগ পেলে আপনার পিঠেও ছুরি চালাতে মরিয়া, আপনার অবস্থা তখন কেমন হবে? আপনি নিশ্চয় অনেক দুঃখ পাবেন। ভাববেন খাল কেটে আপনি হয়তো কুমির আমদানি করেছেন এতোদিন। অথবা, দুধ-কলা দিয়ে পুষে এসেছেন বিষধর কালসাপ। যার জন্য আপনি গলা-পানিতে নামতে রাজি, সে যদি ওই পানিতেই আপনাকে ডুবিয়ে মারতে চায়, আপনার মনোবস্থা…

পুরোটা পড়ুনপইপই করে হিশেব রাখার দিনে

যে দুয়া পড়তে কখনো ভুলো না

মুয়ায ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু ছিলেন নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অত্যন্ত প্রিয় একজন সাহাবি। নবিজী তাকে এতো পছন্দ করতেন যে— কোথাও যাওয়ার সময় মুয়ায রাদিয়াল্লাহু আনহুকে সাথে নিয়ে নিজের বাহনে চেপে বসতেন। একদিন মুয়ায রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাত ধরে নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘মুয়ায, আল্লাহর শপথ আমি তোমাকে ভালোবাসি’। নবিজী ভালোবাসেন মুয়ায রাদিয়াল্লাহু আনহুকে। যাকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া’তায়ালা বাছাই করেছেন মানবতার দূত হিশেবে, গোটা সৃষ্টি জগতের জন্য যাকে রহমত হিশেবে পাঠানো হয়েছে, সপ্ত আসমানের ওপারে ডেকে নিয়ে যার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন স্বয়ং বিশ্ব জাহানের অধিপতি— সেই মহা-মানব যখন কারো হাত ধরে বলেন, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’, একবার ভাবুন তো একজীবনে সেই প্রাপ্তিটা তখন কতো বিশাল হয়ে দাঁড়ায়? মুয়ায রাদিয়াল্লাহু আনহু সম্মানিত সেই মহা-সৌভাগ্যবানদের একজন! তবে, ভালোবাসার কথা জানিয়েই কিন্তু নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর দায়িত্ব শেষ করেননি। ভালোবাসার কথা জানানোর পর মুয়ায রাদিয়াল্লাহু আনহুকে তিনি এমন কিছু শিখিয়ে দেন যা তাকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া’তায়ালার কাছেও করে তুলবে মহা-সম্মানিত। মুয়ায রাদিয়াল্লাহু আনহুকে…

পুরোটা পড়ুনযে দুয়া পড়তে কখনো ভুলো না

একই মৃত্যু— অথচ কী ভিন্ন তার রেখাপাত!

[১] বাংলা ভাষার বেশকিছু শব্দের জঘন্য রকমের বিকৃতি ঘটেছে। সেরকম দুটো শব্দ হলো— দালাল এবং ঘটক। কোনো একটা কাজে যে বা যিনি মধ্যস্থতা করে থাকেন তাকেই দালাল বলা হয়। কিন্তু দূর্ভাগ্য শব্দটার! দালালের অর্থ এখন হয়ে গেছে চাটুকারিতা, তোষামেদি, পদলেহন ইত্যাদি। অর্থাৎ,  নিজের স্বার্থ বজায় রাখতে বা টিকিয়ে রাখতে যে অন্যের চাটুকারিতা করে বেড়ায় তাকে আমরা দালাল বলি। কী সুন্দর একটা শব্দের কী এক জঘন্য পরিণতি! এরকম আরেকটি শোচনীয় পরিণতি বরণ করেছে ‘ঘটক’ শব্দটি। অবশ্য, দালাল শব্দের মতোন অতোটা পোড়াকপাল তার নয়। ঘটক সেই ব্যক্তি যিনি একটা বিয়েতে বরপক্ষ এবং কনেপক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করেন। খুবই ভালো এবং নামদার একটা পেশা বটে!  অথচ, অদৃশ্যমান হলেও শব্দটার সাথে জড়িয়ে গেছে কিছু অপ্রিয় ব্যাপার-স্যাপার। কিছু কদর্য ব্যক্তির বাড়াবাড়ি রকম আচরণে ঘটক শব্দ শুনলেই আমাদের মানসপটে ভেসে উঠে এমন এক চরিত্র, যিনি বেশি কথা বলেন, যিনি যা বলে থাকেন তার অধিকাংশই মিথ্যা, যিনি সবসময় বাড়িয়ে বলেন এবং দিনশেষে এসবের পেছনে তার রয়েছে একটা মোটা…

পুরোটা পড়ুনএকই মৃত্যু— অথচ কী ভিন্ন তার রেখাপাত!

সুরা আদ-দোহাঃ নেপথ্য গল্প থেকে

সুরা আদ-দোহা আমাদের প্রায় সবার অত্যন্ত প্রিয় একটা সুরা। মন খারাপের দিনে ছোট্ট এই সুরা যেন মহৌষধ হিশেবে মুমিন ব্যক্তির জীবনে কাজ করে। আর করবেই-বা না কেনো? স্বয়ং নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য এই সুরাটা একপ্রকার ‘স্বস্তি’ হিশেবে নাযিল হয়েছিলো। আমাদের মন খারাপের দিনে, অলস দুপুরে, উদাস বিকেলে যখন বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকে অন্তর, যখন জানা-অজানা কারণে হৃদয়টা কেবল ছটফটায়, যখন নাভিশ্বাস উঠে যায় মাঝে মাঝে, জীবন থেকে যখন আমাদের পালাতে ইচ্ছে করে, সুরা আদ-দোহা তখন যেন আমাদের ঠিক ঠিক পথ দেখিয়ে নিয়ে চলে। আমরা তখন তিলাওয়াত করি আর স্মরণ করি সেই আয়াতগুলো যেগুলোতে নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া’তায়ালা শুনিয়েছেন আশা এবং ভরসার ঐশী বাণী। ‘নিশ্চয় আপনার রব আপনাকে পরিত্যাগ করেন নি আর না তিনি আপনার ওপর অসন্তুষ্ট।’ [১] ‘নিশ্চয় আপনার জন্য পরবর্তী সময় পূর্ববর্তী সময় অপেক্ষা উত্তম’। [২] ‘শীঘ্রই আপনার রব আপনাকে এতো পরিমাণ দেবেন যে আপনি খুশি হয়ে যাবেন।’ [৩] দুঃখের ভারে নুইয়ে পড়া অন্তরে, বেদনায় মরচে…

পুরোটা পড়ুনসুরা আদ-দোহাঃ নেপথ্য গল্প থেকে

আপনার গুহাটা খুঁজে নিন

সূরা আল কাহাফে বেশ অনেকগুলো ঘটনার পরম্পরা আমরা দেখতে পাই। তবে, মুসা আলাইহিস সালামের মতো প্রসিদ্ধ নবি এবং খিযির আলাইহিস সালামের মতো প্রসিদ্ধ ব্যক্তির ঘটনা এই সূরায় থাকলেও, সূরাটা শুরু হয়েছে কতিপয় যুবকদের দ্বীনে অটল-অবিচল থাকবার ঘটনা দিয়েই। কোন এক সুপ্রাচীন সময়ে, একটা অঞ্চলের সবাই যখন তাওহিদের রাস্তা থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়লো, যখন তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে হরেক রকমের উপাস্যকে ডাকতে শুরু করলো, তখনও কিছু যুবক নিজেদের ঈমান-আমলকে সংরক্ষণ করতে সক্ষম হয়। যখন ভ্রান্তির বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে পড়ে গোটা জনপদ, তখনও তারা স্রোতে মিশে না গিয়ে, নিজেদেরকে ধরে রাখতে পেরেছিলো একত্ববাদের বলয়ে। কিন্তু, যুবকদলের জন্য ব্যাপারটা মোটেও সহজ ছিলো না। তারা জানতো— তাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে এক ঘোর বিপদ। তাদের বিশ্বাসের কথা, সঠিক ধর্মে তাদের নিবিষ্ট থাকবার ঘটনা যদি জানাজানি হয়ে যায়, যদি তা জনপদের হর্তাকর্তাদের কানে পৌঁছে, তাহলেই তাদের জীবন সংশয়ে পড়ে যাবে। তাদের নিশ্চিহ্ন করা হবে চিরতরে। জীবন এবং ঈমান রক্ষার এমন দূর্বোধ্য দো’টানায় পড়ে যুবকদল একত্র…

পুরোটা পড়ুনআপনার গুহাটা খুঁজে নিন

লজ্জা যখন নারীর ভূষণ

কুরআনে বর্ণিত দুটো নারী চরিত্র আমাকে মুগ্ধ করে৷ তাদের একজন সুরা কাসাসের সেই নারী যার সাথে মুসা আলাইহিস সালামের বিয়ে হয়। সেই কন্যাদের সাথে মুসা আলাইহিস সালামের প্রথম দেখা হয় মাদইয়ানে বেশ অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে। তাদের প্রথম সাক্ষাতের সেই বর্ণনা সুরা কাসাসের মধ্যে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া’তায়ালা আমাদের বিস্তারিত জানিয়েছেন। মাদইয়ানে পালিয়ে এসে মুসা আলাইহিস সালাম একটা গাছের নিচে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। খানিক বাদে তিনি দেখতে পেলেন, অদূরে একটা কূপ থেকে কতিপয় লোক পানি উঠাচ্ছে আর তাদের দরকারি কাজ সেরে নিচ্ছে। তিনি আরো দেখলেন— কূপ থেকে একটু দূরে দুটো মেয়ে তাদের বকরীগুলোকে নিয়ে জড়োসড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে আছে৷ কূপের দিকে এগুচ্ছে না। মুসা আলাইহিস সালাম তাদের জিগ্যেশ করলেন কেনো তারা তাদের বকরীকে পানি পান করাতে কূপের দিকে যাচ্ছে না। তখন তারা যা জবাব দিয়েছিলো, তা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া’তায়ালা কুরআনে স্থান দিয়ে দিলেন। মেয়েরা বলেছিলো— ‘আমরা (আমাদের বকরীগুলোকে) পানি পান করাতে পারি না যতোক্ষণ না কূপের পাশে থাকা রাখালেরা তাদের পশুগুলো নিয়ে সরে যায়’- আল কাসাস…

পুরোটা পড়ুনলজ্জা যখন নারীর ভূষণ

ভাস্কর্যের ভারত্ব

১. ভাস্কর্য বলি আর মূর্তি— দুটোর শেকড় কিন্তু দিনশেষে একই উৎস থেকে উৎসারিত, এবং তা হলো— ব্যক্তির সম্মানকে যুগের পর যুগ টিকিয়ে রাখতে, তা থেকে উৎসাহিত হতে, অনুপ্রেরণা পেতে তার একটা প্রতিমূর্তি গড়ে নিয়ে নিজেদের সামনে রেখে দেওয়া। মূর্তিপূজার গোঁড়া কোথায় প্রোথিত তা কুরআন বেশ সুস্পষ্টভাবে বিধৃত করেছে, এবং সেই সূত্রের শুরুর ঘটনায় কোনোভাবেই পূজোর মূর্তির দেখা মিলে না, সেখানে বরং দেখা মিলে ব্যক্তি সম্মান তুলে ধরবার সম্মানার্থে গড়ে তোলা ভাস্কর্যের। নূহ আলাইহিস সালামের কওমেরা তাদের সময়কার মহাত্মা মনীষীদের মৃত্যুর পরে, তাদের মহাজীবনকে স্মরণীয় করে রাখতে তাদের প্রতিমূর্তি গড়ে তুলে যা কালক্রমে একসময় পূজোর বস্তুতে পরিণত হয়। এভাবেই একসময়কার ভাস্কর্য পরিণত হয়েছে মূর্তিতে। আর, ভাস্কর্য নির্মাণ করে ব্যক্তি-জীবনকে স্মরণীয় করে রাখবার এই পরামর্শ তারা লাভ করেছিলো ইবলিশ শয়তানের কাছ থেকে। সুতরাং, যারা খুবই পেরেশানিতে আছেন যে— মুসলমানরা কেনো ভাস্কর্য আর মূর্তি নিয়ে এতোখানি উত্তেজিত, কিংবা যারা ধরেই নিয়েছেন যে— মূর্খ মুসলমানরা মূর্তি আর ভাস্কর্যের প্রভেদ বুঝতে পারে না, তাদের উদ্দেশ্য…

পুরোটা পড়ুনভাস্কর্যের ভারত্ব

বলয় ভাঙার আগে

[ক] মাঝে মাঝে অনলাইনের অতি-প্রগতিশীল, অতি-নারীবাদী, অতি-আধুনিক ভেকধারীরা মহিলাদের খুব ব্যক্তিগত একটা ব্যাপার, মেনস্ট্রুশান বা পিরিওড নিয়ে হাউকাউ শুরু করে। প্রতিবছরের শুরুতে, বা বছরের মাঝামাঝি কিংবা বছরের শেষান্তে তারা সম্মিলিতভাবে, হুক্কাহুয়া রব তুলে এই ট্যাবু (!) ভাঙার জন্যে সোচ্চার হয়ে উঠে। তাদের লেখাজোকা পড়লে মনে হয়, এই একটা ট্যাবু যদি ভাঙা যায়, বাঙালি জাতিকে বোধকরি আর কেউ বেঁধে রাখতে পারবেনা। এই ট্যাবু ভেঙে গেলে, আমাদের পিটে ইকারুসের পাখা গজানো শুরু করবে, এবং সেই পাখায় ভর করে আমরা স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল সবকিছু জয় করে ফেলবো। কিন্তু, সত্যই কি এই প্রয়াস ট্যাবু ভাঙার? আমরা সবাই জানি, ইসলাম ধর্মে হায়া তথা লজ্জা ব্যাপারটার গুরুত্ব বেশ অনেকখানি। আমাদের ধর্মের একটা বিধান হচ্ছে, বাচ্চারা যখন একটা নির্দিষ্ট বয়স পার করে, যখন তারা নিজ থেকে অনেককিছু বুঝতে শুরু করে, ঠিক তখনই তাদের বিছানা আলাদা করে দিতে হয়। ইসলাম বলে, এই পর্যায়ে যদি বাচ্চারা পৌঁছায়, তাহলে বাবা-মা’র সাথে তারা এক বিছানায় না ঘুমোনোই উত্তম। বাচ্চা ছেলে হোক বা মেয়ে,…

পুরোটা পড়ুনবলয় ভাঙার আগে