একজন মানুষকে চেনার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো তার অতীত সম্পর্কে সে কী ভাবে সেটা বোঝা।
ধরুন একটা সময়ে আর্থিকভাবে আপনি বেশ নাজুকতার মধ্য দিয়ে গেছেন৷ বেশ কষ্টে কেটেছে আপনার দিনগুলো৷ কষ্টের পরে একসময় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আপনার জীবনে বারাকাহ দিলেন, আপনার কিছু পয়সাপাতি হলো, আপনি মোটামুটি একটা অবস্থানে আসতে শুরু করেছেন সমাজে।
সামাজিক অবস্থান পরিবর্তনের সাথে সাথে যদি আপনার বন্ধুমহলও বদলে যায়— যেমন কোটিপতি মানুষ না হলে আপনি কারো জন্য সময় করেন না, লাখোপতি না হলে আপনি কারো বাসায় দাওয়াতে যান না, ব্র্যাণ্ডের জামা গায়ে না থাকলে যেকাউকে আপনার গরীব গরীব লাগে— এসব উপসর্গ যদি আপনার মধ্যে থাকে তাহলে বন্ধু হিশেবে আপনি অবশ্যই সুবিধের নন।
নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন মক্কার সবচেয়ে সম্ভ্রান্ত গোত্রের লোক, কিন্তু সমস্ত অসহায়, দরিদ্র আর গরীবদের জন্য তিনি এতোটাই নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন যে— কারো ঘরে খাবার না থাকলে তারা সবার আগে নবিজীর কাছে চলে আসার কথা চিন্তা করতে পারতেন৷ তারা জানতেন— আবদুল মুত্তালিবের নাতির কাছে গেলে আর যাহোক খালি হাতে ফিরতে হবে না৷ একটুকরো রুটিও যদি থাকে, তিনি সেটাকে দুভাগ করে বন্টন করে দেবেন।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা মানুষকে সম্পদ দিয়ে যেমন পরীক্ষা করেন, সম্পদ না দিয়েও পরীক্ষা করেন৷ যাকে সম্পদ আর ক্ষমতা দেয় তার জন্যে পরীক্ষা হলো সে কতোটা ‘ডাউন টু দ্য আর্থ’ থাকছে৷ এর উজ্জ্বল উদাহরণ নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। মক্কা যেদিন বিজয় হলো, তিনি হয়ে গেলেন সবকিছুর একচ্ছত্র মালিক৷ অথচ— মক্কা বিজয়ের দিন নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কা’বা চত্বরে যখন ঢুকছিলেন তাঁর বাহনে চড়ে, তখন তিনি সিজদাবনত অবস্থায় ছিলেন৷ এটা হলো বিনয়, নিরহংকার আর সত্যিকার মাটির মানুষ হয়ে থাকার উদাহরণ।
পয়সাওয়ালার সাথে বন্ধুত্ব করতে দোষ নেই, যেমনি করে নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বন্ধুত্ব করেছেন আবু বকর, উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুর সাথে৷ কিন্তু এ-ও তো সত্য— আবু বকর আর উসমানদের ভিড়ে, নবিজীর জীবন থেকে কখনোই বিলাল আর আবু হুরায়রারা হারিয়ে যাননি।
মাশাআল্লাহ ❤️
দুনিয়ার মুনুষ বিপদের সময় ছেড়ে যেতে পারে। কিন্তু মাহান আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা আমাদের পাশে আছেন।
আরিফ আজাদ ভাইয়ের লেখাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
Masha Allah 💚
onk onk valo laglo
Masha Allah 🌸