আর কয়েকটা দিন পরে আমরা প্রবেশ করবো নতুন একটা বছরে। ক্রমাগত ফুরিয়ে যাওয়া হায়াতের সুনির্দিষ্টকাল সময় থেকে হারিয়ে যাবে আস্ত একটা বছর! মনে হয় যেনো এই তো সেদিন ২০২২ সাল শুরু হয়েছিলো। জানুয়ারি আর ফেব্রুয়ারি মাসের স্মৃতিগুলো একেবারে তাজা রয়ে গেছে এখনো। অথচ, সেগুলো আজ থেকে দশ-এগারো মাসের অতীত। ক্রমান্বয়ে অথচ কী ভয়ানকভাবেই না আমরা এগিয়ে যাচ্ছি মৃত্যুর দিকে!
নতুন বছরে নতুন করে শুরু করার একটা তাড়না আমাদের সকলের মনে উঁকি দেয়। নতুন উদ্যমে, নতুন পরিকল্পনায়, নতুন ছকে জীবনটাকে সাজিয়ে নিতে আমরা নানানভাবে চেষ্টা করি। আমরা ভাবি— ‘অনেক তো হলো, এবার নতুন করে সবকিছু গোছানো যাক’। মনে মনে বিড়বিড় করে আমরা বলি— ‘নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে আমি হয়ে যাবো একেবারে ভিন্ন মানুষ। সবকিছু নতুনভাবে শুরু করবো’।
এই ওয়াদাগুলো আমরা প্রায় প্রতি বছরই নিজের সাথে করি। এসকল আপ্তবাক্যে আমরা সাময়িকভাবে উদ্দীপ্ত হই বটে, কিন্তু দিনশেষে কোন পরিবর্তনের পথেই আমরা হাঁটতে পারি না। আমাদের দিনগুলো যেভাবে আগে কাটতো— যে মলিনতায়— এসকল আপ্তবাক্য আওড়ানোর পরেও আমাদের জীবনটা তেমনই থেকে যায়। এরকম নতুন বছর আমাদের জীবনে আসে এবং যায়। অনেক নতুন মাস, সপ্তাহ আর আগামিকাল আমরা পার করি নিয়ম করে। কিন্তু যা আমাদের আর করা হয়ে উঠে না তা হলো— জীবনের একটা নতুন শুরু।
কিন্তু, কখনো কি ভেবেছি কেনো জীবনটাকে নতুনভাবে আমরা শুরু করতে পারি না? এই প্রচেষ্টায় আমাদের প্রধাণতম প্রতিবন্ধকতা হলো এই— পরিবর্তনের ইচ্ছেটাকে একটা নতুন বছর, একটা নতুন মাস, নতুন সপ্তাহ কিংবা একটা নতুন ‘আগামিকাল’ এর জন্য আমরা উঠিয়ে রাখি। তবে, সেই নতুন সময়টা আসবার আগেই আমাদের ভিতরের উদ্দীপনা ফুরিয়ে নিঃশেষ হয়ে যায়।
লোহাকে বাঁকাতে হলে তা গরম অবস্থাতেই বাঁকাতে হয়। ঠান্ডা হয়ে গেলে লোহাকে বাঁকানো কঠিন হয়ে পড়ে। জীবনকে যদি আমরা লোহা হিশেবে কল্পনা করি, তাতে পরিবর্তন আনতে হলে, যদি তাতে দিতে চাই নতুন একটা আকৃতি, তাহলে এমন অবস্থায় তা করে ফেলতে হবে যখন তা তাতানো থাকে। অর্থাৎ— জীবনের ঠিক যেই মুহুর্তে আমাদের ভেতরে পরিবর্তনের প্রেরণা জন্মেছে, যখনই মনে হয়েছে— ‘উহু, এভাবে তো চলতে পারে না’, ঠিক ওই মুহূর্ত থেকেই পরিবর্তনের পথে হাঁটতে শুরু করতে হবে। দেরি করা যাবে না একটা মুহূর্তও।
প্রতিনিয়ত সালাত মিস হচ্ছে? পড়বো পড়বো করে পড়াই হচ্ছে না? যদি এমনটা হয় তাহলে দয়া করে আপনার পরিকল্পনার মাঝে কোন ‘আগামিকাল’ এর অস্তিত্ব আছে কী না দেখুন। যদি সেখানে ‘আগামিকাল থেকে পড়বো’ জাতীয় কোন লাইন থাকে, সেটাকে অতিসত্ত্বর মুছে ফেলুন। আগামিকাল নয়, আপনাকে শুরু করতে হবে ঠিক পরের ওয়াক্ত থেকেই।
‘নতুন বছরে নতুন করে শুরু করবো’— বাক্যটা শুনতে সুন্দর লাগলেও, নতুন বছরে নতুনভাবে শুরু করার সম্ভাবনা আমাদের জীবনে খুবই ক্ষীণ। নতুন করে শুরু করতে নতুন বছর, নতুন মাস, নতুন সপ্তাহ বা নতুন দিনের দরকার হয় না। যা দরকার তা হলো— দৃঢ়তা এবং এখনই শুরু করে দেওয়ার মানসিকতা।
খুব ভালো হয়েছে । মাশাল্লাহ।
ALHAMDULILLAH . EI MUHURTO THEKEI JIBONER NOTUN SHUNDOR SHUCHONA HOK . ALLAHPAK AMAKE KOBUL KORUK AKJON MUMIN SHONTAN HISHABE . JAJAKALLAH ARIF VAI . VALO THAKBEN ALWAYS.
আলহামদুলিল্লাহ! আমার জীবনের নতুন একটা শুরু যেন ঠিক যেই মুহুর্তেই আপনার এই লেখাটা পড়ে নিজেকে সংকল্পবদ্ধ করেছি একটা সোনালী সুন্দর পরিবর্তনের সৈই মুহুর্ত থেকেই। পরিবর্তনটা যেন কোনো আগামীকাল বা পরের জন্য রেখে না দিই। আজকেই যেন পরিবর্তনটা কুড়িয়ে নিতে পারি ইনশাআল্লাহ৷ প্রিয় ভালোবাসার লেখক, আপনার জন্যে এক সমুদ্র দোয়া আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লার কাছে।
আসসালামুয়ালাইকুম,,,প্রিয়,আরিফ আজাদ ভাই। আপনার অনেক গুলো বই আমি পড়েছি,অনেক কিছু শিখেছি,অনেক কিছু বুঝেছি,এই মহান রবের যতো পরিকল্পনা এই তার গুনাগার বান্দাকে ঘিরে যিনি না চাইলে এই দয়া ময় রবকে একটি সেজদা দিতে পারবো না, তখন মুসলিম হয়ে নিজেকে অনেক বড়ো অপরাধী মনে হয়।আমার আল্লাহ,রব, রহমানের রহিম পরম দয়াময়,,তিনি চান তার বান্দা যেনো তার কাছে ফিরে আসেন,তাকে যেনো সেজদা করেন,বন্দার গুনা মাফ করাতে চান।আহ,,কতো ভালোবাসেন তার বান্দাকে, তার পরেও আমরা গুনা করি,তার পরেও তিনি মাফ করেন,বার বার গুনা করি বার বার তিনি মাফ করে। আমি এখন দুবাইতে আছি, আমি আপনার বই গুলো কিভাবে পেতে পারি?দয়াকরে একটু জানাবেন ভাই।।।আসসালামুয়ালাইকুম।।
আলহামদুলিল্লাহ ভাইয়া, অনেককিছু শিখলাম। জাযাকাল্লাহু খইর।
Can’t you please break the chain of evolutionary belief , which people put in favour of atheism through our quran and prophet’s saying?or the proofs that we didn’t evovle.
খুব সুন্দর উপস্থাপন।
এর শিক্ষা নিয়ে যেনো এগোতে পারি পরবর্তী মূহুর্ত গুলো। আমিন।