প্রশ্ন করতে পারা নিঃসন্দেহে চমৎকার একটা গুণ। তবে— উত্তরের আগেই যদি ব্যক্তি অনুসিদ্ধান্তে পৌঁছে গিয়ে থাকে, কিংবা ব্যক্তি যে উৎস থেকে প্রশ্নগুলো ধার করেন সেটা যদি হয় অজ্ঞতা আর গোঁড়ামিতে পূর্ন— সত্যকে নিয়ে সেখানে ছিনিমিনি খেলা সম্ভব বটে। বিশ্বাসের সত্যকে ঘিরে এ-ধরণের অজ্ঞতা আর গোঁড়ামির উত্তর পাওয়া যায় ‘আরজ আলী সমীপে’র পাতায় পাতায়।
অনেক তো ঘোর লাগা সময় পার করা হলো, অনেক অলস সকাল, বিষণ্ন দুপুর, বিবর্ণ বিকেল আর নিঃসঙ্গ রাত। এভাবেই কি ফুরিয়ে যাবে একটা আস্ত মানবজীবন? কোথাও কি থাকবে না বদলানোর একটু হাতছানি? কোন এক মিষ্টি সকালে, একবার গা ঝাড়া দিয়ে আমরা কি বলে উঠতে পারি না— ‘এভাবে আর নয়। এবার ভিন্ন কিছু হোক’।
কুরআন কীভাবে আমাদের জীবনের কথা বলে, কীভাবে আমাদের জীবনে কুরআন হয়ে উঠতে পারে আলোর দিশা, কুরআনের আয়াতগুলো থেকে কীভাবে আমরা আহরণ করতে পারি মণি-মুক্তো, কীভাবে কুরআন আমাদের চিন্তার জগতে আনতে পারে নতুন মাত্রা— পাঠক পরিচিত হবে সেরকম একটা ধারার সাথে। উঁহু, গতানুগতিক গদ্য বা খটমটে প্রবন্ধ নয়, প্রতিটা অধ্যায়ে পাঠক দেখতে পাবে তার জীবনের প্রতিচ্ছবি, জীবন থেকে নেওয়া ঘটনা অথবা…
জীবন গল্পের মতো নয়— মাঝে মাঝে জীবন গল্পের চেয়েও অনেকবেশি গল্পময়। জীবনের পরতে পরতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে গল্পের উপাদান যাতে কল্পনা নয়, মিশে আছে বাস্তবতার অনুষঙ্গ। ‘জীবন যেখানে যেমন’ বইতে সেই গল্পগুলোর খানিকটা সাক্ষাৎ পেতে পারেন।
নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়ার বুকে পদচিহ্ন রাখা শ্রেষ্ঠ মানুষ। সেই অনুপম চরিত্রের মাঝে জীবনের যে পাঠ আমাদের জন্য নিহিত, তার খানিকটা তুলে ধরার প্রয়াস চালিয়েছেন লেখক আরিফ আজাদ।
বিশ্বাসের কথা কতোটা শক্ত করে বলা যায়? বিশ্বাসী প্রাণের সুর কতোটা অনুপম হতে পারে? বিশ্বাসকে যুক্তির দাঁড়িপাল্লায় মাপা কি খুব সহজ? অবিশ্বাসীকে কতোটা মায়াভরা স্পর্শে বিশ্বাসের শীতল পরশ দেওয়া যায়? যুক্তিতেই মুক্তি নাকি বিশ্বাসের যুক্তিতেই মুক্তি? প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ পড়ে এসবের উত্তর মিলতে পারে।
নীড় হারা পাখিরা কতোটা তৃষ্ণার্ত থাকে নীড়ে ফেরার জন্যে? যারা দ্বীন হারায়, বিচ্যুত হয় সীরাতুল মুস্তাকীমের রাস্তা থেকে, কিংবা যারা কখনো খুঁজেই পায়নি নীড়— কেমন তাদের গল্পগুলো? নীড়ে ফেরার পরে কেমন কাটে তাদের সময়গুলো? একঝাঁক মেধাবি তরুণ তরুণীদের দ্বীনে ফেরার গল্প নিয়ে আরিফ আজাদ সম্পাদিত এই বইটি দ্বীনের পথে চলতে আপনার জন্য হতে পারে এক অনুপম অনুপ্রেরণার উৎস।
‘জন্মিলে মরিতে হবে’, তবে মৃত্যুই কি সবকিছুর সমাপ্তি? এই কোলাহল, আয়োজন, আড়ম্ভরতা, এই যাপিত জীবনের সকল অধ্যায় একদিন টুপ করে নিঃশেষ হয়ে যাবে? কোথাও কি বরাদ্দ নেই আরেকটা জীবন? যদি থাকে, সেই জীবনের জন্য আমাদের আয়োজন কতোখানি? জীবনের বেলা ফুরিয়ে যাবার আগে আমরা সেই অনন্তের পথে ডেকে যেতে চাই।
জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান দুটো নাম— মা এবং বাবা। দুনিয়ার আলো-হাওয়া-জল দেখতে পাওয়ার উসিলা। তাদের গোটা জীবন কাটে আমাদের জন্য ত্যাগ করে— তবু কি আমরা পারি তাদের ঋণের বিন্দুকণাও শোধ করতে? বাবা-মা’র প্রতি অন্তরে ভালোবাসা জাগাতে আরিফ আজাদ সম্পাদিত এই বইটি আপনাকে সাহায্য করতে পারে।